ভারত: যে ব্যক্তির উপর মঙ্গল গ্রহের প্রভাব আছে, তার মঙ্গলদোষ আছে বলে ধরা হয়ে থাকে। আর সেই ব্যক্তিকে বলা হয়ে থাকে মাঙ্গলিক। এই কুসংস্কার অনুযায়ী মাঙ্গলিক এবং অমাঙ্গলিক ব্যক্তির মাঝে বিবাহ ঘটলে তা ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনে। যারা এই কুসংস্কারে বিশ্বাস করেন, তারা মনে করেন যে মাঙ্গলিক কনে তার বরের শীঘ্র মৃত্যু ঘটাতে ভূমিকা পালন করে। এজন্য, তাকে বিয়ের পূর্বে গাছ, প্রাণী বা জড়বস্তুকে বিয়ে করতে হয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে, গাছ, প্রাণী বা জড়বস্তুর সাথে বিয়ের মাধ্যমে কনের মঙ্গলদোষ দূর হয়ে যায় এবং এর ফলে সে তার বরের সাথে সুখে শান্তিতে জীবনযাপন করতে পারে।

যেহেতু মনে করা হয় যেসব মেয়েরা মাঙ্গলিক হয়, বিয়ের পর পরই তাদের স্বামীর মৃত্যুর হয়, তাই এই অভিশাপ থেকে বাঁচতে প্রথমে তাদের গাছের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে তা ধ্বংস করে ফেলা হয়, মানে , বিয়ের পর গাছটি কেটে ফেলা হয়। । এবার তার দ্বিতীয়, মানে আসল বিয়েতে আর কোনো বাধাই থাকলো না।

শুনতে অবাস্তব লাগছে?

ভারতের জনপ্রিয় নায়িকা ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনও কিন্তু মাঙ্গলিক ছিলেন, আর তার প্রথম বিবাহ গাছের সাথেই হয়েছিল!
সনাতন ধর্মের বিশ্বাস, কোনো গোত্র বর্ণ নির্বিশেষে যে কোনো বিয়ের কনেই মাংগলিক হতে পারে । এবং সেটা কেবলমাত্র পুরোহিতরাই বুঝতে পারেন । 

উভয়েই মাংগলিকঃ 

যদি দু জন মাংগলিকের মধ্যে বিবাহ হয় তাহলে এই দোষ কেটে যায়। একে আপনি বিষে বিষে বিষক্ষয় বলতে পারেন। অর্থাৎ দুই মাংগলিকের বিবাহ হলে দু জনের মাংগলিক দোষ খণ্ডিত হয়ে যায় দু জনের প্রভাবে। তবে দুজনেরই জন্মছক যাচাই করে নেওয়া উচিৎ নচেৎ দাম্পাত্য কলহ থেকে বিচ্ছেদে পরিনত হতে পারে